নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন আয়োজিত মাসব্যাপী লোকজ উৎসবে ‘বাংলাদেশের লোক ও কারুশিল্প’ শীর্ষক সেমিনার  অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে জগতের সকল আঁধার অমঙ্গল বিদূরীত করে জ্বলে উঠুক মঙ্গলপ্রদীপ শিখা-এ ব্রত নিয়ে মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে ফাউন্ডেশনের পরিচালক কবি রবীন্দ্র গোপের সভাপতিত্বে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।

সাগর অনন্তের উপস্থাপনায় সোনারতরী লোকমঞ্চে বাংলা একাডেমির উপপরিচালক  স্বনামধন্য লেখক ড. তপন বাগচী, বাংলাদেশের লোক ও কারুশিল্প’ শীর্ষক সেমিনার প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শান্তা মরিয়াম বিশ^বিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক দেওয়ান মিজান, কবি শাহেদ কায়েস, কবি ¯িœগ্ধা বাউল, কবি রহমান মুজিব প্রমুখ। 

উল্লেখ্য যে, এবার মেলায় সর্বমোট  স্টলের সংখ্যা ১৭০টি। কর্মরত কারুশিল্পী প্রদর্শনী স্টল ৩০টি; এতে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রথিতযশা ৬০জন কারুশিল্পী তাঁদের হাতে বাহারি কারুপণ্য তৈরি, প্রদর্শনী ও বিপণনে অংশ নিয়েছেন। এ বছর সিলেট ও মুন্সিগঞ্জের শীতলপাটি, নওগাঁ, মাগুরা ও ঝিনাইদহের শোলাশিল্প, রাজশাহীর শখেরহাঁড়ি ও মুখোশ, ঢাকার শাঁখাশিল্প ও মৃৎশিল্প, চট্টগ্রামের তালপাতার হাতপাখা, রংপুরের শতরঞ্জি, ঠাকুরগাঁয়ের বাঁশের কারুশিল্প, সোনারগাঁয়ের কাঠের চিত্রিত হাতি ঘোড়া পুতুল কারুশিল্প, নকশিকাঁথা, বেতের কারুশিল্প, কুমিল্লার তামা-কাঁসা পিতলের কারুশিল্প, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও সিলেটের ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর কারুশিল্পী, কিশোরগঞ্জের টেরাকোটা পুতুল ইত্যাদি। এছাড়া হস্তশিল্পের স্টল ৪৮টি (খ) পোশাক শিল্পের স্টল ৩৩টি (গ) স্টেশনারী ও কস্মেটিকস ৩০টি (ঘ) খাবার ও পানীয় ১০টি (ঙ) মিস্টির স্টল ১০টি। 

   
আজ গ্রামীণ খেলার মাঠে আনন্দবাজার মতিউর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে লোকজীবন ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ খেলা প্রদর্শিত হয়। বৈকালিক গানের আসরে জাকির হোসেন তিন্নি, বদিয়ার রহমান, শরীফ সাধু এবং জয়নুল পাঠশালার ছোট্ট সোনামণিগণ অংশগ্রহণ করেন। 

সান্ধ্যকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ঢাকা পদাতিক এর ‘কথা একাত্তর’ শীর্ষক লোকজ নাটক উপস্থাপিত হয়। আজ সরকারী ছুটির দিন থাকায় হাজার হাজার দর্শক ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানমালা উপভোগ করেন।