নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গনে শুরু হলো মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব। ফাউন্ডেশনের ময়ূরপঙ্খী মঞ্চে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক কাজী মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব জনাব মো. মফিদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার,সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজ ফারজানা রহমান,ঢাকা রিজিওন টুরিস্ট পুলিশ সুপার মোঃ নাঈমুল হক।
এছারাও আরোও উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি জনাব আজহারুল ইসলাম মান্নান, সাধারণ সম্পাদক জনাব মোশারফ হোসেনসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এ কে এম আজাদ সরকার।
উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের প্রখ্যাত দুজন কারুশিল্পীকে ‘শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন আজীবন সম্মাননা’ ও তিনজন কারুশিল্পীকে ‘শ্রেষ্ঠ কারুশিল্পী পুরস্কার ২০২৪’ প্রদান করা হয়। নকশিকাঁথা শিল্পের জন্য বেগম হোসনে আরা ও তামা-কাঁসা শিল্পের জন্য মানিক সরকারকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। পুরস্কার হিসেবে তাঁদের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা ও দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। শ্রেষ্ঠ কারুশিল্পী পুরস্কার-২০২৪ পেয়েছেন কোমর তাঁতশিল্পী মিলন চিসিম, চিত্রিত হাতিঘোড়া কারুশিল্পী ধীরেন্দ্র সূত্র ধর ও টেপা পুতুল কারুশিল্পী সুনীল পাল। পুরস্কার হিসেবে তাঁদের প্রত্যেককে এক ভরি ওজনের স্বর্ণপদক ও এক লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
এবারের মেলায় কর্মরত কারুশিল্পী প্রদর্শনীর ৩২টি স্টলসহ মোট ১০০টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের ৬৪ জন প্রথিতযশা কারুশিল্পী এতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। প্রতিদিন লোকজ মঞ্চে থাকছে লোকসংগীত শিল্পীদের পরিবেশনা।মেলার বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে পুতুল নাচ, বায়োস্কোপ, নাগরদোলা, গ্রামীণ খেলাসহ নানা আয়োজন।
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে ফাউন্ডেশনের মঞ্চে হবে লোকজ উৎসব। মেলায় প্রবেশের জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের ৫০ টাকা ও শিক্ষার্থীদের ৩০ টাকা মূল্যের টিকিট কাটতে হবে। বিকেল ৫টার পর মেলায় প্রবেশে কোনো টিকিট লাগবে না।